ঢাবি সাংবাদিকতার ৪১ বছর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ঢাবিসাস) ২০২৫ সালে পদার্পণ করলো তার ৪১তম বর্ষপূর্তিতে। ক্যাম্পাসের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এই সংগঠনটি এক অবিস্মরণীয় সাফল্যের প্রতীক। দীর্ঘ চার দশক ধরে ঢাবিসাস বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। মুক্তচিন্তা ও গণতন্ত্রের বিকাশে এই সমিতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ উপলক্ষে ঢাবিসাসের অতীত অর্জন ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে এই প্রবন্ধটি তৈরি করা হলো।
গঠন ও প্রারম্ভিক চ্যালেঞ্জ
১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটিকে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং সত্য সংবাদ প্রকাশ করা ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ।
উদ্দেশ্য ও মূলনীতি
ঢাবিসাসের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। তারা সবসময় বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা এবং সাহসিকতার নীতিতে অবিচল ছিল।
- শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ: নতুন সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত কর্মশালা আয়োজন করা।
- মুক্ত সাংবাদিকতা: ক্যাম্পাসে ভয়-ভীতিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- সংগঠন: দেশের মূলধারার সাংবাদিকতায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করা।
শুরুর দিকের নেতারা কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের মাধ্যমে এই সংগঠনকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছিলেন। তাদের দূরদর্শী নেতৃত্বেই আজকের ঢাবিসাস সফলতার মুখ দেখেছে।
চার দশকের সাফল্য ও অবদান
বিগত ৪১ বছরে ঢাবিসাস সাংবাদিকতা জগতে অসামান্য অবদান রেখেছে। দেশের স্বনামধন্য বহু সাংবাদিক এই সংগঠনের হাতে গড়া।
জাতীয় সাংবাদিকতায় প্রভাব
ঢাবিসাস সদস্যরা বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তাদের পেশাদারিত্ব ও নৈতিক মানদণ্ড জাতীয় সাংবাদিকতায় এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সাফল্যের কিছু দিক:
- বিশাল নেটওয়ার্ক: দেশজুড়ে পেশাদার সাংবাদিকদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।
- পুরস্কার ও সম্মাননা: সমিতির সদস্যরা তাদের কাজের জন্য একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
- মানবাধিকার রক্ষা: ঢাবিসাস সদস্যরা সর্বদা সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থেকেছেন।
- সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন: সমিতির উদ্যোগে প্রতি বছরই গবেষণা ও মান উন্নয়নের কাজ করা হয়।
সংগঠনটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সাংবাদিকতার গুণগত মান বজায় থাকে এবং নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হয়।
ভবিষ্যৎ ভাবনা ও লক্ষ্য ২০২৫
সাংবাদিকতার নতুন যুগে ঢাবিসাস তার লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুত। ২০২৫ সালের মধ্যে তারা কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
- ডিজিটাল সাংবাদিকতা: অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।
- ডেটা জার্নালিজম: তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা বা ডেটা জার্নালিজমকে উৎসাহিত করা ও এর উপর জোর দেওয়া।
- নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার: সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো।
এই সমিতি আশা করে, আগামী দিনেও তারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আলো জ্বেলে রাখবে। ক্যাম্পাস ও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপসংহার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ৪১ বছরের পথচলা ত্যাগ, নিষ্ঠা এবং সাফল্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। মুক্ত ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চায় এই সংগঠনটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর সদস্যরা দেশের গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাবিসাস শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি ভবিষ্যতের সাংবাদিকদের জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ।
অন্য খবর বিডিও দেখতে ভিজিট করুন…………
🌐 ওয়েবসাইট: Shobkhobor24 https://www.shobkhobor24.com
🎥 ইউটিউব: Shobkhobor24 YouTube https://www.youtube.com/@shobkhobor24
📘 ফেসবুক: Shobkhobor24 Facebook https://www.facebook.com/profile.php?id=61578376864291